সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

তারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলে

তারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলে

তারা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলে

কয়েক বছর আগে রুবিয়া (১) নামে একজন বোন, যার বয়স এখন ৩০ বছর, সান্ড্রা (২) নামে একজন অগ্রগামী বোনের সঙ্গে দেখা করার জন্য যান, যিনি দক্ষিণ ব্রাজিলের একটা ছোট্ট মণ্ডলীতে সেবা করছিলেন। সেই সাক্ষাতের সময়, এমন একটা বিষয় ঘটেছিল, যা রুবিয়াকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, এটা তার জীবনধারাকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল। সেটা কী? আসুন আমরা রুবিয়ার কাছ থেকে শুনি।

“আমি আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারিনি”

“সান্ড্রা আমাকে নিয়ে একজন মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, যাকে তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করাচ্ছিলেন। অধ্যয়নের সময় সেই মহিলা হঠাৎ করে বলেছিলেন: ‘সান্ড্রা, আমার কাজের জায়গায় তিনটে মেয়ে বাইবেল অধ্যয়ন করতে চায় কিন্তু আমি তাদের বলেছি, এর জন্য তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। আমি জানি যে, এই বছর আপনি অত্যন্ত ব্যস্ত।’ আমি আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারিনি। যিহোবাকে জানতে চায় এমন লোকেদেরকে অপেক্ষা করার তালিকায় থাকতে হবে! আমার নিজের মণ্ডলীতে, এমনকী একটা অধ্যয়ন খুঁজে পাওয়াও অনেক কঠিন ছিল। সেই মুহূর্তেই, বাইবেল ছাত্রীর ঘরে বসেই আমি তার ছোট্ট শহরের লোকেদেরকে সাহায্য করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা বোধ করি। শীঘ্র, আমি নিজের বড়ো শহর ছেড়ে সান্ড্রা যে-শহরে অগ্রগামীর কাজ করছিলেন, সেখানে চলে যাই।”

রুবিয়ার জন্য এর ফল কী হয়েছিল? তিনি বলেন: “আমি সেখানে যাওয়ার দুই মাসের মধ্যেই ১৫টা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতে শুরু করেছিলাম এবং—বিশ্বাস করুন বা না-ই করুন—শীঘ্র সান্ড্রার মতো আমারও অপেক্ষা করার একটা তালিকা হয়ে গিয়েছিল!”

সে পুনরায় তার পরিচর্যা পরীক্ষা করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল

দিয়েগো (৩) নামে একজন ভাই, যার বয়স এখন ২০-এর কোঠার প্রথম দিকে, সে দক্ষিণ ব্রাজিলের একটা ছোট্ট শহর প্রুডেনটোপলিসে সেবারত বেশ কয়েক জন অগ্রগামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেই সাক্ষাৎ তার ওপর এত গভীর ছাপ ফেলেছিল যে, সে পুনরায় তার পরিচর্যা পরীক্ষা করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। সে ব্যাখ্যা করে: “আমি আমার মণ্ডলীতে গা-ছাড়াভাবে কাজ করছিলাম, প্রতিমাসে পরিচর্যায় মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় ব্যয় করতাম। কিন্তু, আমি যখন সেই অগ্রগামীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং তাদের অভিজ্ঞতা শুনি, তখন পরিচর্যার প্রতি আমার উদাসীন মনোভাবের সঙ্গে তাদের আনন্দপূর্ণ মনোভাবের তুলনা না করে আমি থাকতে পারিনি। আমি যখন দেখেছিলাম যে, তারা কতটা আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত, তখন আমি চিন্তা করেছিলাম, আমার জীবনও তাদের মতো অর্থপূর্ণ হতে পারে।” সেই সাক্ষাতের পর, দিয়েগো অগ্রগামীর কাজ করতে শুরু করেছিল।

তুমিও কি একজন অল্পবয়সি সাক্ষি? দিয়েগোর মতো তুমিও কি এইরকমটা মনে করছ যে, প্রচার কাজে অংশ নেওয়া এবং সভাগুলোতে যোগ দেওয়া সত্ত্বেও, তোমার পরিচর্যা বেশি আনন্দদায়ক নয়? যদি তা-ই হয়, তাহলে তুমি কি তোমার জীবনে এমন পরিবর্তনগুলো করতে পারো, যা তোমাকে রাজ্যের প্রকাশকদের যেখানে বেশি প্রয়োজন, সেখানে গিয়ে সেবা করার মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ দেবে? এটা ঠিক যে, এক আরামদায়ক জীবনযাপন ত্যাগ করা তোমার কাছে অনেক কঠিন বলে মনে হতে পারে। তা সত্ত্বেও, অনেক অল্পবয়সি ঠিক এই বিষয়টা করাই বেছে নিয়েছে। তারা পূর্ণরূপে যিহোবার সেবা করার জন্য নিজেদের লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষাগুলোকে রদবদল করার সাহস দেখিয়েছে। আরেকটা উদাহরণ হিসেবে ব্রুনোর কথা বিবেচনা করো।

শিক্ষক নাকি পরিচারক?

কয়েক বছর আগে, ব্রুনো (৪) নামে একজন ভাই, যার বয়স এখন ২৮ বছর, একটা নামকরা মিউজিক স্কুলে অধ্যয়ন করতেন এবং তার লক্ষ্য ছিল অর্কেস্ট্রার একজন শিক্ষক হওয়া। সত্যি বলতে কী, সেই অধ্যয়নে তিনি এতটাই উন্নতি করেছিলেন যে, বেশ কয়েক বার তাকে সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা পরিচালনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার সামনে এক সম্ভাবনাময় কেরিয়ার ছিল। “তা সত্ত্বেও,” ব্রুনো বলেন, “আমার মনে হতো যে, আমার জীবনে কিছু একটার অভাব রয়েছে। আমি যিহোবার কাছে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম, তবে আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি তাঁকে আমার সর্বোত্তমটা দিচ্ছিলাম না আর এই বিষয়টাই আমাকে বিরক্ত করছিল। আমি প্রার্থনায় যিহোবাকে আমার অনুভূতি সম্বন্ধে জানিয়েছিলাম এবং সেইসঙ্গে মণ্ডলীর অভিজ্ঞ ভাইদের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। বিষয়টা নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার পর, পরিচর্যাকে আমি সংগীতের আগে স্থান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, মিউজিক স্কুল ত্যাগ করেছিলাম এবং রাজ্যের প্রচারকদের সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে এমন একটা এলাকায় গিয়ে সেবা করার প্রতিদ্বন্দ্বিতা গ্রহণ করেছিলাম।” তার সিদ্ধান্তের ফল কী হয়েছিল?

ব্রুনো গুয়াপিয়ারা (যেখানকার জনসংখ্যা প্রায় ৭,০০০) নামে একটা শহরে গিয়েছিলেন, যেটা সাও পাওলো শহর থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার (১৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত। এটা এক বিরাট পরিবর্তন ছিল। তিনি বলেন: “আমি এমন একটা ছোটো বাড়িতে থাকতে শুরু করি, যেখানে কোনো ফ্রিজ, টেলিভিশন অথবা ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না। তার পরও, সেই বাড়িতে এমন কিছু ছিল, যেগুলো আগে কখনো আমার ছিল না—সবজি এবং ফলের বাগান!” সেখানে একটা ছোট্ট মণ্ডলীতে সেবা করার সময়, ব্রুনো সপ্তাহে একবার তার ব্যাগে করে খাবার, জল ও সাহিত্যাদি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে প্রচার করার জন্য যেতেন। সেই এলাকার অনেক লোক এর আগে কখনো সুসমাচার সম্বন্ধে শোনেনি। “আমি ১৮টা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতাম,” তিনি বলেন। “এই ছাত্রদেরকে নিজেদের জীবনে বিভিন্ন পরিবর্তন করতে দেখা আমার জন্য অনেক আনন্দদায়ক ছিল!” তিনি আরও বলেন: “জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যে, আমার জীবনে কোন বিষয়টার অভাব রয়েছে—গভীর পরিতৃপ্তিবোধ, যা রাজ্যের বিষয়গুলোকে প্রথমে রাখার মাধ্যমে আসে। আমি যদি বস্তুগত লক্ষ্যগুলোর পিছনে ছুটতাম, তাহলে কখনো এই বিষয়টা উপভোগ করতে পারতাম না।” গুয়াপিয়ারা শহরে ব্রুনো কীভাবে নিজের আর্থিক সংস্থান জোগাতেন? তিনি হেসে উত্তর দেন: “গিটার শেখানোর মাধ্যমে।” তিনি সেই সময়ও এক ধরনের শিক্ষক ছিলেন।

“আমাকে থেকে যেতেই হয়েছিল”

মারিয়ানার (৫) পরিস্থিতিও ব্রুনোর মতো ছিল, যার বয়স এখন ২০-এর কোঠার শেষের দিকে। তিনি একজন উকিল হিসেবে কাজ করতেন কিন্তু তার লাভজনক পেশা সত্ত্বেও তিনি প্রকৃতপক্ষে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি বলেন: “আমার এইরকমটা মনে হতো যেন আমি ‘বায়ুভক্ষণ’ করছি।” (উপ. ১:১৭) বেশ কয়েক জন ভাই ও বোন তাকে অগ্রগামীর কাজ শুরু করার কথা চিন্তা করার জন্য উৎসাহিত করেছিল। বিষয়টা নিয়ে কিছু সময় চিন্তা করার পর, মারিয়ানা তার আরও তিন বান্ধবী বিয়ানকা (৬), ক্যারোলিন (৭) ও জুলিয়ানার (৮) সঙ্গে তাদের বাড়ি থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বলিভিয়ার নিকটবর্তী একটা প্রত্যন্ত শহর বারা ডু বুগ্রেসের একটা মণ্ডলীকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর কী ঘটে?

মারিয়ানা বলেন: “আমার উদ্দেশ্য ছিল যে, আমি সেখানে তিন মাস থাকব। কিন্তু, তিন মাস পর দেখা যায় যে, আমার বাইবেল অধ্যয়ন রয়েছে ১৫টা! নিশ্চিতভাবেই, সেই ছাত্রদের সত্যে উন্নতি লাভ করার জন্য আরও সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। তাই, সাহস করে আমি আমার চলে যাওয়ার কথা তাদেরকে বলতে পারছিলাম না। আমাকে থেকে যেতেই হয়েছিল।” আর চার জন বোন ঠিক এই বিষয়টাই করেছিল। তাহলে, মারিয়ানার নতুন কেরিয়ার কি তার জীবনধারাকে আরও উদ্দেশ্যপূর্ণ করে তুলেছিল? তিনি বলেন: “জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য লোকেদেরকে বিভিন্ন পরিবর্তন করতে সাহায্য করায় যিহোবা যে আমাকে ব্যবহার করছেন, তা ভেবে আমার অনেক ভালো লাগে। এটা জানা আমার জন্য আশীর্বাদজনক যে, আমি এখন আমার সময় ও শক্তি এমন কিছু করার জন্য ব্যয় করছি, যা আসলেই মূল্যবান।” ক্যারোলিন চার বোনের অনুভূতি সম্বন্ধে এভাবে সারাংশ করেন: “রাতে শুয়ে শুয়ে আমি যখন চিন্তা করি যে, রাজ্যের বিষয়গুলো অনুধাবন করার জন্য আমি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি, তখন গভীর পরিতৃপ্তি বোধ করি। কীভাবে বাইবেল ছাত্রদের সাহায্য করব, সেটাই হচ্ছে এখন আমার জীবনের মূল বিষয়। তাদেরকে উন্নতি করতে দেখা সত্যিই বিস্ময়কর। আমি এই কথার সত্যতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারছি: ‘আস্বাদন করিয়া দেখ, সদাপ্রভু মঙ্গলময়।’”—গীত. ৩৪:৮.

সারা পৃথিবীতে বৃদ্ধিরত সেই যুবক-যুবতীদের দেখে যিহোবা নিশ্চয়ই কত আনন্দিতই না হন, যারা প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে তাঁর রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার জন্য নিজেদের “স্বেচ্ছায়” বিলিয়ে দেয়! (গীত. ১১০:৩; হিতো. ২৭:১১) এর ফলে, এইসমস্ত ইচ্ছুক কর্মীরা যিহোবার অপরিমেয় আশীর্বাদ লাভ করে।—হিতো. ১০:২২.

[৫ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

“আমাদের কোনো কিছুরই অভাব হয়নি”

শাওঁ পাওলো এবং তার স্ত্রী নয়মি যখন যেখানে বেশি প্রয়োজন, সেখানে সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, তখন বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে নিরুৎসাহজনক মন্তব্য শুনেছিল। মণ্ডলীর কেউ কেউ বলেছিল: “একটা ছোট্ট শহরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে তোমরা আর্থিক ঝুঁকি নিচ্ছ।” “অন্য জায়গায় যাওয়ার দরকার কী? আমাদের নিজ মণ্ডলীতেই তো যথেষ্ট কাজ বাকি রয়েছে।” শাওঁ পাওলো বলেন: “এই ধরনের সদুদ্দেশ্যপূর্ণ অথচ নিরুৎসাহজনক উপদেশ শুনে মন ভেঙে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল।” কিন্তু, রাজ্যের প্রকাশকদের অনেক প্রয়োজন এমন একটা এলাকায় কয়েক বছর কাজ করার পর, বর্তমানে শাওঁ পাওলো এবং নয়মি এই বিষয়ে অনেক আনন্দিত যে, তারা তাদের পরিচর্যাকে বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অটল ছিল। শাওঁ পাওলো ব্যাখ্যা করেন: “আমার স্ত্রী এবং আমি এখানে আসার পর থেকে আমাদের কোনো কিছুরই অভাব হয়নি। আর প্রকৃতই প্রয়োজন এমন বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, আগে আমাদের যতটুকু ছিল, এখন তার চেয়েও বেশি রয়েছে।” নয়মি সঙ্গে যুক্ত করেন: “এই প্রচেষ্টা সার্থক ছিল।”

ছোটো শহরগুলোতে জীবনযাপন করা অনেক কঠিন। যে-লোকেরা প্রত্যন্ত জায়গাগুলোতে গিয়েছে, তারা কীভাবে নিজেদের ভরণপোষণের জন্য অর্থ জোগায়? বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করার মাধ্যমে। কেউ কেউ ইংরেজি অথবা অন্য কোনো ভাষা শেখায়, স্কুলের ছেলে-মেয়েদের গৃহশিক্ষক হিসেবে কাজ করে, সেলাই অথবা বাড়িতে রং করার কাজ করে কিংবা যেকোনো ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করে। আর যারা যেখানে বেশি প্রয়োজন, সেখানে সেবা করে, তারা সকলেই কোন বিষয়ে একমত? প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় আশীর্বাদ আরও বেশি!

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

বাড়ি থেকে দূরে থাকা কঠিন হতে পারে

টিয়াগু: “নতুন মণ্ডলীতে আসার পর, কিছু দিনের মধ্যেই আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে শুরু করি। সেই শহরে প্রকাশকদের সংখ্যা খুবই কম ছিল এবং অবসর সময় কাটানোর মতো কোনো ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। বাড়ির জন্য আমার মন খারাপ হতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারি যে, আমার আনন্দ বজায় রাখার জন্য আমাকে কিছু করতে হবে। তাই, আমি মণ্ডলীর ভাইবোনদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে পরিচিত হওয়ার প্রচেষ্টা করতে শুরু করি—আর এটা কার্যকারী হয়েছিল! আমার নতুন নতুন বন্ধু হয় এবং শীঘ্র আমি আনন্দ ফিরে পাই আর আমার এইরকমটা মনে হতে থাকে যে, আমি বাড়িতেই আছি।”

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

সান্টা কাটারিনার আসকুরাতে নয়মি এবং শাওঁ পাওলো