সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ইব্রীয় শাস্ত্র-এ ঈশ্বরের নাম

ইব্রীয় শাস্ত্র-এ ঈশ্বরের নাম

প্রাচীন ইব্রীয় বর্ণে ঈশ্বরের নাম, যা বাবিলে নির্বাসিত হওয়ার আগে ব্যবহার করা হতো

ইব্রীয় বর্ণে ঈশ্বরের নাম, যা বাবিলে নির্বাসিত হওয়ার পরে ব্যবহার করা হতো

মূল ইব্রীয় শাস্ত্র-এ প্রায় ৭,০০০ বার ঈশ্বরের নাম রয়েছে, যা יהוה এই চারটে ইব্রীয় ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে গঠিত। ইংরেজি ভাষার পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ বাইবেলে এই চারটে বর্ণ, যেগুলো টেট্রাগ্র্যামাটোন হিসেবে পরিচিত, সেগুলোকে “যিহোবা” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে। এই নামটা বাইবেলে সবচেয়ে বেশি বার এসেছে। যদিও বাইবেল লেখকরা ঈশ্বরকে নির্দেশ করার জন্য “সর্ব্বশক্তিমান,” “পরাৎপর” এবং “প্রভু” এইরকম বিভিন্ন উপাধি এবং বর্ণনামূলক অভিব্যক্তি ব্যবহার করেছেন কিন্তু টেট্রাগ্র্যামাটোনই হল একমাত্র ব্যক্তিগত নাম, যা তারা ঈশ্বরকে শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করেছেন।

যিহোবা ঈশ্বর নিজে তাঁর নাম ব্যবহার করার জন্য বাইবেল লেখকদের পরিচালিত করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ, ভাববাদী যোয়েলকে তিনি এই কথা লিখতে অনুপ্রাণিত করেছেন: “যে কেহ সদাপ্রভুর [“যিহোবার,” NW] নামে ডাকিবে, সেই রক্ষা পাইবে।” (যোয়েল ২:৩২) আর ঈশ্বর একজন গীতরচককে এই কথাগুলো লিখতে পরিচালিত করেছিলেন: “[ইহারা] জানুক যে তুমি, যাঁহার নাম সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW], একা তুমিই সমস্ত পৃথিবীর উপরে পরাৎপর।” (গীতসংহিতা ৮৩:১৮) সত্যি বলতে কী, কেবল গীতসংহিতা বইয়ের মধ্যেই ঈশ্বরের নাম প্রায় ৭০০ বার এসেছে। আর এই বইটা কবিতার আকারে লেখা হয়েছিল, যেগুলো ঈশ্বরের লোকেরা গেয়েছিল এবং আবৃত্তি করেছিল। তাহলে, কেন অনেক বাইবেল অনুবাদে ঈশ্বরের নামটা নেই? কেন নতুন জগৎ অনুবাদ বাইবেলে “যিহোবা” নামটা ব্যবহার করা হয়েছে? আর ঈশ্বরের এই যিহোবা নামের অর্থ কী?

ডেড সি স্ক্রোল-এর মধ্যে পাওয়া গীতসংহিতা বইয়ের নির্বাচিত অংশ, যেটা ১ থেকে ৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। এই পাঠ্যাংশে যে-ইব্রীয় বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে, তা সাধারণত বাবিলে নির্বাসিত হওয়ার পর ব্যবহার করা হতো কিন্তু প্রত্যেক বার টেট্রাগ্র্যামাটোন লেখার সময় প্রাচীন ইব্রীয় বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে

কেন অনেক বাইবেল অনুবাদে এই নামটা নেই? এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে যে, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে শনাক্ত করার জন্য তাঁর এক অদ্বিতীয় নামের প্রয়োজন নেই। অন্যেরা হয়তো যিহুদি রীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই নাম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলেছে, যারা সম্ভবত অপবিত্র করার ভয়ে এই নাম ব্যবহার করত না। আবার কেউ কেউ মনে করে যে, যেহেতু ঈশ্বরের নামের একেবারে সঠিক উচ্চারণ সম্বন্ধে স্পষ্টভাবে জানা নেই, তাই কেবল “প্রভু” অথবা “ঈশ্বর” এইরকম উপাধি ব্যবহার করা আরও উত্তম। কিন্তু, নীচের এই কারণগুলোর জন্য এই ধরনের আপত্তির কোনো ভিত্তি নেই:

  • যারা যুক্তি দেখায়, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের এক অদ্বিতীয় নামের প্রয়োজন নেই, তারা এই প্রমাণ উপেক্ষা করে যে, শুরুতে তাঁর বাক্যের যে-অনুলিপিগুলো ছিল, সেগুলোতে ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম রয়েছে। আর এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু অনুলিপি খ্রিস্টের সময়েরও আগে থেকে সংরক্ষিত ছিল। ওপরে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, ঈশ্বর তাঁর বাক্যে তাঁর নামটা প্রায় ৭,০০০ বার লেখার জন্য পরিচালিত করেছেন। স্পষ্টতই, তিনি চান যেন আমরা তাঁর নাম জানি এবং সেটা ব্যবহার করি।

  • যে-অনুবাদকরা যিহুদি রীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে ঈশ্বরের নাম বাদ দিয়েছে, তারা একটা মূল বিষয় উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও কিছু যিহুদি অধ্যাপক সেই নাম উচ্চারণ করত না, কিন্তু তারা তাদের বাইবেলের অনুলিপিগুলো থেকে সেই নাম বাদ দিয়ে দেয়নি। ডেড সি-র কাছাকাছি কুমরানে পাওয়া প্রাচীন স্ক্রোলগুলোতে অনেক জায়গায় ঈশ্বরের নামটা রয়েছে। ইংরেজি ভাষার কিছু বাইবেল অনুবাদক ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, মূল পাঠ্যাংশে ঈশ্বরের নামটা ছিল, কারণ সেটা অনুবাদ করার সময় সেই জায়গাগুলোতে তারা বড়ো অক্ষরে “LORD” উপাধিটা ব্যবহার করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই অনুবাদকরা যেখানে স্বীকার করে যে, বাইবেলের পাঠ্যাংশে এই নাম হাজার হাজার বার পাওয়া যায়, সেখানে কেন তারা ঈশ্বরের নামের পরিবর্তে বিভিন্ন উপাধি ব্যবহার করেছে অথবা সেই নামটা বাদ দিয়েছে? কে এইরকম এক বড়ো পরিবর্তন করার অধিকার তাদেরকে দিয়েছে বলে তারা মনে করে? এর উত্তর কেবল তারাই জানে।

  • যারা এইরকমটা বলে থাকে যে, একেবারে সঠিক উচ্চারণটা জানা নেই বলে ঈশ্বরের নাম ব্যবহার করা উচিত নয়, তারা আবার যিশুর নামটা ঠিকই স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করে। কিন্তু, বর্তমানে অধিকাংশ খ্রিস্টান যেভাবে যিশুর নাম উচ্চারণ করে থাকে, সেটার চেয়ে প্রথম শতাব্দীতে যিশুর শিষ্যদের উচ্চারণ বেশ আলাদা ছিল। খুব সম্ভবত যিহুদি খ্রিস্টানরা যিশুর নামকে ইশুয়া হিসেবে উচ্চারণ করত। আর “খ্রিস্ট” উপাধিকে ম্যাশিয়াক হিসেবে উচ্চারণ করা হতো, যেটার অর্থ হচ্ছে “মশীহ।” গ্রিকভাষী খ্রিস্টানরা তাঁকে ইসোয়াস খ্রিস্টস এবং ল্যাটিনভাষী খ্রিস্টানরা ইসাস ক্রিস্টাস বলে সম্বোধন করত। ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় বাইবেলে লিপিবদ্ধ তাঁর নামের গ্রিক অনুবাদ দেখায় যে, প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানরা তাদের ভাষায় প্রচলিত নামটা ব্যবহার করে যুক্তিসংগত পদ্ধতিই অনুসরণ করেছিল। একইভাবে, নতুন জগৎ বাইবেল অনুবাদ কমিটি মনে করে যে, “যিহোবা” নামটা ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত; এমনকী যদিও এই অনুবাদ প্রাচীন ইব্রীয় ভাষায় ঈশ্বরের নাম যেভাবে উচ্চারণ করা হতো, একেবারে সেটার মতো নয়।

কেন নতুন জগৎ অনুবাদ বাইবেলে “যিহোবা” নামটা ব্যবহার করা হয়েছে? টেট্রাগ্র্যামাটোনের চারটে বর্ণ (יהוה), ইংরেজিতে YHWH ব্যঞ্জনবর্ণ দ্বারা নির্দেশ করা হয়। প্রাচীন ইব্রীয় ভাষায় লিখিত সমস্ত শব্দের মতো, টেট্রাগ্র্যামাটোনের মধ্যেও কোনো স্বরবর্ণ ছিল না। যখন দৈনন্দিন জীবনে প্রাচীন ইব্রীয় ভাষা ব্যবহার করা হতো, তখন পাঠকরা সহজেই এর মধ্যে উপযুক্ত স্বরবর্ণ যোগ করে নিত।

ইব্রীয় শাস্ত্র লেখা সম্পূর্ণ হওয়ার প্রায় এক হাজার বছর পর, যিহুদি পণ্ডিতরা উচ্চারণের নির্দেশিকা পদ্ধতি বা সংকেত উদ্ভাবন করে, যেটার দ্বারা বোঝা যেত যে, ইব্রীয় শব্দগুলো পড়ার সময় কোন স্বরবর্ণগুলো যুক্ত করতে হবে। কিন্তু, ততদিনে অনেক যিহুদির মধ্যে এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধারণা গড়ে উঠেছিল যে, জোরে জোরে ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম উচ্চারণ করা অন্যায় আর এই কারণে তারা বিকল্প অভিব্যক্তি ব্যবহার করত। তাই, খুব সম্ভবত তারা যখন টেট্রাগ্র্যামাটোনের অনুলিপি করেছিল, তখন তারা সেই বিকল্প অভিব্যক্তির স্বরবর্ণগুলোকে চারটে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যোগ করে, যেগুলো ঈশ্বরের নামকে নির্দেশ করে। সুতরাং, যে-পাণ্ডুলিপিগুলোতে সেই স্বরবর্ণগুলো ছিল, সেগুলো ইব্রীয় ভাষায় মূলত কীভাবে নাম উচ্চারণ করা হতো, তা বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী নয়। কেউ কেউ মনে করে, সেই নামকে “ইয়াওয়ে” হিসেবে উচ্চারণ করা হতো, আবার অন্যেরা মনে করে যে, সেটা অন্যভাবে উচ্চারণ করা হতো। একটা ডেড সি স্ক্রোলে, যেটাতে লেবীয় পুস্তক বইয়ের একটা অংশ রয়েছে, তাতে গ্রিক ভাষায় ঈশ্বরের নামের প্রতিবর্ণীকরণ রূপ হল ইয়াও (Iao)। এই নাম ছাড়াও, প্রাথমিক গ্রিক লেখকরা বলেছিল, এর উচ্চারণ ইয়াই (Iae), ইয়াবি (I·a·beʹ) এবং ইয়েওউয়ি (I·a·ou·eʹ)। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে একেবারে বদ্ধমূল ধারণা পোষণ করার কোনো কারণ নেই। আমরা আসলে জানি না যে, প্রাচীন কালে ঈশ্বরের দাসেরা ইব্রীয় ভাষায় কীভাবে এই নাম উচ্চারণ করত। (আদিপুস্তক ১৩:৪; যাত্রাপুস্তক ৩:১৫) কিন্তু আমরা যা জানি, সেটা হল ঈশ্বর তাঁর লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সময় বার বার তাঁর নাম ব্যবহার করেছিলেন আর তাঁর দাসেরা তাঁকে সেই নামে ডাকত এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় স্বচ্ছন্দে সেই নাম ব্যবহার করত।—যাত্রাপুস্তক ৬:২; ১ রাজাবলি ৮:২৩; গীতসংহিতা ৯৯:৯.

তাহলে, কেন নতুন জগৎ অনুবাদ বাইবেলে “যিহোবা” নামটা ব্যবহার করা হয়েছে? কারণ ইংরেজি ভাষায় ঈশ্বরের এই নাম ব্যবহার করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

১৫৩০ সালে উইলিয়াম টিনডেলের দ্বারা অনুবাদিত পেন্টাটিউক-এর আদিপুস্তক ১৫:২ পদে ঈশ্বরের নাম

১৫৩০ সালে উইলিয়াম টিনডেল যখন পেন্টাটিউক অনুবাদ করেন, তখন প্রথম বার ইংরেজি বাইবেলে ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম উল্লেখ করা হয়। তিনি “ইহোয়ুআ” নামটা ব্যবহার করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি ভাষা পরিবর্তন হয় এবং ঈশ্বরের নামের বানানেরও আধুনিকীকরণ হয়। উদাহরণ স্বরূপ, ১৬১২ সালে হেনরি এইনস্‌ওয়ার্থ গীতসংহিতা বই অনুবাদ করার সময় সমস্ত জায়গায় “ইহোভা” নামটা ব্যবহার করেন। এরপর ১৬৩৯ সালে যখন পেন্টাটিউক-সহ সেই বই পরিমার্জিত ও মুদ্রিত করা হয়, তখন সেখানে “যিহোবা” নাম ব্যবহার করেন। ১৯০১ সালে যে-অনুবাদকরা অ্যামেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ভারশন বাইবেল অনুবাদ করেন, তারা ইব্রীয় পাঠ্যাংশে যে-সমস্ত জায়গায় ঈশ্বরের নাম ছিল, সেখানে “যিহোবা” নাম ব্যবহার করেন।

১৯১১ সালে সম্মাননীয় বাইবেল পণ্ডিত জোসেফ ব্রায়েন্ট রদারয়েম স্টাডিজ ইন দ্যা সাম্‌স বইয়ে “ইয়াওয়ে” নামের পরিবর্তে “যিহোবা” নাম ব্যবহার করেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি এমন “একটা নাম” ব্যবহার করতে চান, “যা সাধারণ বাইবেল পাঠকদের কাছে আরও বেশি পরিচিত (ও সেইসঙ্গে একেবারে গ্রহণযোগ্য)।” ১৯৩০ সালে পণ্ডিত এ. এফ. ক্রিকপেট্রিক “যিহোবা” নামের ব্যবহার সম্বন্ধে একইরকম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন: “আধুনিক দিনের ব্যাকরণবিদদের মতে এই নামটা ইয়াভে অথবা ইয়াহাভে হিসেবে উচ্চারিত হওয়া উচিত; কিন্তু ইংরেজি ভাষায় যিহোবা নামটা বহুল প্রচলিত আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটার উচ্চারণ নয় বরং এই বিষয়টা উপলব্ধি করা যে, এটা এক নামবাচক বিশেষ্য পদ, কেবল ‘প্রভু’ শব্দের মতো কোনো উপাধি নয়।”

টেট্রাগ্র্যামাটোন, YHWH: “তিনি অস্তিত্বে আনেন”

ক্রিয়াপদ HWH: “অস্তিত্বে আনা”

যিহোবা নামের অর্থ কী? ইব্রীয় ভাষায়, যে-ক্রিয়া পদ থেকে যিহোবা নামটা এসেছে, সেটার অর্থ হল “অস্তিত্বে আনা” আর অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি মনে করেন যে, এটা ইব্রীয় ক্রিয়া পদটার নিমিত্তবাচক রূপকে বোঝায়। তাই নতুন জগৎ অনুবাদ কমিটি-র বোধগম্যতা অনুসারে, ঈশ্বরের নামের অর্থ হল, “তিনি অস্তিত্বে আনেন।” এই বিষয়ে বিভিন্ন পণ্ডিত ব্যক্তির বিভিন্ন মত রয়েছে, তাই এই অর্থের ব্যাপারে আমাদের বদ্ধমূল ধারণা পোষণ করা উচিত নয়। তবে, এই অর্থ সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর উদ্দেশ্য সাধনকারী হিসেবে যিহোবার ভূমিকার সঙ্গে উপযুক্তভাবে মিলে যায়। তিনি শুধুমাত্র এই নিখিলবিশ্ব ও বুদ্ধিমান প্রাণীদেরই অস্তিত্বে আনেননি কিন্তু সেইসঙ্গে ধীরে ধীরে ক্রমাগতভাবে তাঁর ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করেন।

তাই, যিহোবা নামের অর্থ শুধুমাত্র যাত্রাপুস্তক ৩:১৪ পদে (পাদটীকা) প্রাপ্ত সম্পর্কযুক্ত ক্রিয়া পদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, যেখানে লেখা রয়েছে: “আমি যে হইব, সেই হইব।” সঠিকভাবে বললে, এটা ঈশ্বরের নামের সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে না। এর পরিবর্তে, এগুলো ঈশ্বরের ব্যক্তিত্বের একটা দিক প্রকাশ করে, যেটা দেখায় যে, তিনি তাঁর উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার জন্য প্রতিটা পরিস্থিতিতে যা হওয়া প্রয়োজন, তা-ই হন। তাই যদিও যিহোবা নামের সঙ্গে এই অর্থটা যুক্ত রয়েছে, কিন্তু এটা কেবল তিনি নিজে যা হতে চান, তা হওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কিন্তু সেইসঙ্গে তাঁর সৃষ্টির এবং তাঁর উদ্দেশ্য সম্পাদনের জন্য তিনি যা ঘটাতে পারেন, সেটাও অন্তর্ভুক্ত।